পৃষ্ঠাসমূহ

*এখন ঢাকায় তারিখ ও সময়*

বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

Facebook এ অফিস/প্রতিষ্ঠানের নামে প্রোফাইল তৈরি এবং এর ব্যবহার

কোনো ব্যক্তি Facebook ব্যাবহার করতে চাইলে প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। প্রোফাইলকে অনেকে আইডি ও বলে থাকেন। প্রোফাইল হোক কিংবা আইডি সেটা ব্যক্তির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অনেকেই পদবী কিংবা প্রতিষ্ঠান/দপ্তরের নামে
প্রোফাইল তৈরি করছেন। যা Facebook এর পলিসি বহির্ভূত। যেমন: UNO ........... upazila, উপজেলা শিক্ষা অফিস, ..... উপজেলা । আবার কেউ কেউ আরেকটু ভিন্নভাবে নাম ব্যবহার করছেন। কর্মকর্তা কিংবা দপ্তর প্রধানের নাম সহ পদবী ব্যাবহার করছেন।যেমন: UNO X, ....... upazila, DC X ইত্যাদি । X মহোদয় বদলি হয়ে Y মহোদয় যোগদান করলে আবার পরিবর্তন করে UNO Y, ....... upazila করা হয়। যখন যে কর্মকর্তা যোগদান করছেন তখন পদবীর পরে সেই নাম যোগ করে নাম পরিবর্তন করে যাচ্ছেন। উনাদের হয়তো জানা নেই একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক বার নাম পরিবর্তন করার পর আর কোনো সুযোগ থাকবে না নাম পরিবর্তন করার। তখন যেই বিপদ ঘটতে পারে তা হলো পূর্বে ব্যবহৃত যেকোন একটি নাম আপনাকে বেছে নিতে হবে।X, Y, Z, A, B, C পর্যন্ত হয়তো করা যাবে কিন্তু D মহোদয় যোগদান করার পর আর নাম উনার নামে করা যাবেনা। কিন্তু পূর্বতন কর্মকর্তাদের নামে একাউন্ট থাকলে ভুল বুঝার অবকাশ থেকে যাবে।সেটা পূর্বে কর্মরত কর্মকর্তার জন্য বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে।
নাম ব্যাবহারের ক্ষেত্রে কিছু পলিসি আছে ফেসবুকের। 
তার মধ্যেে অন্যতম হলো এমন নাম ব্যবহার করতে হবে যে নামে আপনাকে আপনার বন্ধুরা সচরাচর সম্বোধন করে থাকেন। তাছাড়া নামটি যেন আপনার জীবনের যেকোনো একটি আইডি কার্ড কিংবা ডকুমেন্টে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরেকটি হলো যেকোনো ধরণের পদবী ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন : ধর্মীয় কিংবা প্রফেশনাল
এই শর্তের আওতায় উপরের উদাহরণগুলো ফেসবুকের পলিসি বহির্ভুত। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় এগুলো বন্ধ করে দিতে পারে। 
গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ফেসুবক প্রোফাইল তৈরি করা যাবে না। কারণ প্রোফাইলে ৫ হাজার পর্যন্ত ফ্রেন্ডলিস্ট লিমিট আছে। তারপর আর বন্ধু যোগ হবেনা।একটি উপজেলা কিংবা জেলা পর্যায়ের অফিসের ৫ হাজার কেন ৫ লক্ষ পর্যন্ত মানুষের যোগাযোগ থাকা খুবই স্বাভাবিক।লিমিট ক্রস করার পর কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে না পারলে মাইন্ড করতে পারেন। তাছাড়া কেউ ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত হতে চাইলে প্রেথমে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। সেই রিকোয়েস্ট একসেপ্ট হলে তবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। 
তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য, ব্যবসার জন্য কিংবা কোনো আইডিয়া অনেকের সাথে শেয়ার করতে চাইলে তৈরি করতে হবে Facebook page. এটাকে অবশ্য কেউ কেউ Like page ও বলে থাকেন। দুটো একই বিষয়। কারণ পেজ এর সাথে যুক্ত হতে হলে Like দিতে হয়।
অনেকে মনে করেন প্রতিষ্ঠানের জন্য Facebook page তৈরি করার জন্য প্রথমে প্রতিষ্ঠানের নামে একটি একাউন্ট তৈরি করতে হবে। কিন্তু এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। যিনি এই পেজটি পরিচালনা করতে চান তার একাউন্ট থাকাই যথেষ্ট। ওই ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেলে উনাকে রিমোভ করে যে কাউকে পরিচালনাকারী হিসেবে এড করা যাবে। তাছাড়া একটি পেজ পরিচালনা করার জন্য একাধিক ব্যক্তিকে এড করার সুযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ কথা হলো শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যক্তির নিজের নামে Facebook Profile / ID তৈরি করা যুক্তিযুক্ত। প্রতিষ্ঠান/অফিসের প্রয়োজনে Facebook page তৈরি করা উচিত।

আরো একটি কথা, অফিস কিংবা পদবীর বিপরীতে তৈরি করা একাউন্টে নিজের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক ছবি পোস্ট করা একেবারেই বেমানান। অফিসের আইডিতে শুধুমাত্র অফিসিয়াল বিষয়গুলো পোস্ট করাই শ্রেয়।অন্যের পোস্ট শেয়ার করার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

নিচে ফেসবুকের অফিসিয়াল পেজ থেকে দুটি স্ক্রিনশট দেয়া হলো: