সাধারণত মুমূর্ষ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘অ্যাম্বুলেন্স’
বা ‘রোগীবাহী গাড়ি’ ব্যবহার করা হয়। এসব গাড়ি সাধারণত খুব দ্রুতগামী হয়।
আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারযোগ্য গাড়িতে নিচের উল্লেখিত
বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকতে হয়। এগুলো হলো-
- গাড়ি অবশ্যই দ্রুতগামী হতে হবে,
- গাড়িতে সাইরেন থাকতে হবে,
- গাড়িতে ঘূর্ণায়মান সতর্কতাজ্ঞাপক বাতি লাগানো থাকতে হবে,
- প্রচলিত ট্রাফিক নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জানতে হবে,
- গাড়ির সামনে ও পিছনের দিকে বড় আকারে ‘অ্যাম্বুলেন্স’ কথাটি লেখা থাকতে হবে,
- গাড়ির চালককে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে এবং রাস্তা-ঘাট সম্পর্কে বিশেষভাবে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।
এই বৈশিষ্ট্য সমূহ না থাকলে কোনো গাড়ি ‘অ্যাম্বুলেন্স’ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য
হবে না। প্রাচীনকালের অ্যাম্বুলেন্সে কিন্তু এসব সুবিধা ছিল না।
প্রাচীনকালের একটি অ্যাম্বুলেন্স
কোনো মুমূর্ষ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে গাড়ি চালানোর সময় একটি
অ্যাম্বুলেন্সকে এই বৈশিষ্ট্য সমূহ প্রয়োজনানুসারে ব্যবহার করতে হয়। গাড়িতে
সংযুকক্ত সাইরেন অন্য গাড়িকে সাবধান করে দেয় যে, একটি অ্যাম্বুলেন্স
যাচ্ছে। যদি গাড়িতে কোনো স্পিকার না থাকে, তবে গাড়ির ছাদে লাগানো
ঘূর্ণায়মান আলো অন্য গাড়ি বা লোককে সাবধান করে দেয়।
AMBULANCE শব্দটি অ্যাম্বুলেন্সের সামনের দিকে উল্টোভাবে লেখা
যদি তাও না থাকে তবে সামনের গাড়ি যাতে বুঝতে পারে পেছনে একটি অ্যাম্বুলেন্স
রয়েছে এবং নিজের রিয়ার ভিউ মিররে গাড়ির লেখা ‘অ্যাম্বুলেন্স’ কথাটি বুঝতে
পারে সেজন্য ‘অ্যাম্বুলেন্স’ (AMBULANCE) কথাটি উল্টোভাবে লেখা থাকে।
AMBULANCE শব্দটি অ্যাম্বুলেন্সের সামনের দিকে উল্টোভাবে লেখা
এখানে উল্লেখ করা যায় যে, অ্যাম্বুলেন্স যখন কোনো মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালে
বহন করে নিয়ে থাকে, তখন তার জন্য প্রচলিত ট্রাফিক নিয়ম প্রযোজ্য হয় না।
ফলে গাড়ির চালক নিজের প্রয়োজনমতো রাস্তার সোজা বা উল্টো যে কোনো দিক দিয়েই
গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এসময় অন্যান্য গাড়িকেও অ্যাম্বুলেন্স
গাড়ির জন্য স্থান করে দিতে হয়।
অবশ্য বর্তমানকালের অনেক অ্যাম্বুলেন্সই এসব নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলেন না। ফলে অনেকক্ষেত্রেই নানা ধরনের দূর্ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়।
Courtesy: http://bdlearning33.blogspot.com
২টি মন্তব্য:
নতুন কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
মিজান, তোমাকেও ধন্যবাদ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন