সেদিন (৭/১২/২০২০) ৫৬ বছরের বয়স্ক একজন ব্যাক্তি আমার কাছে এসেছেন যিনি একটি অফিসে ১৮তম গ্রেডে চাকরি করেন। তিনি নিজের জন্য TIN নাম্বার তৈরি করতে আমার সাহায্য চান। আমি উনার মূল বেতন জানতে পারলাম ১৭,০০০ টাকার কিছু বেশি। আমি উনাকে বললাম আপনার তো এটা লাগবে না। উনি এর উত্তরে যা বললেন তা খুবই বেদনাদায়ক। উনার বেতন থেকে নাকি দুই বছর যাবত উৎসে আয়কর কর্তন করা হচ্ছে। অথচ গত বছর অর্থাৎ ৩০/০৬/২০২০ পর্যন্তও ১৭৮৫৭ টাকার কম মূল বেতন হলে আয়কর প্রদান করার প্রয়োজন ছিল না। পরে উনার
অফিসের হিসাবরক্ষক সাহেবের নিকট জানতে পারলাম উনাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নাকি বলেছে ১৬,০০০ টাকা মূল বেতন হলেই উৎসে আয়কর কর্তন করে বেতন বিল তৈরি করার জন্য। আমার ধারনা উনারা নির্দেশনাটি ভালোভাবে বুঝতে পারেননি। ওই বয়স্ক মানুষটিসহ তাদের অফিসের আরো অনেকেই এই ফাঁদে পড়েছেন।অথচ আইনে বলা আছে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতন ১৬০০০ টাকা হলে TIN নাম্বার সংগ্রহ শুধু রিটার্ন দাখিল করতে হবে, আয়কর প্রদান করতে হবে না। যদিও খুব কম সংখ্যক কর্মচারীই এই আইন মেনে চলেছেন।
যাই হোক যেসব পুরুষ কর্মচারীর বর্তমান মূল বেতন ২১,৪২৮ টাকার কম এবং মহিলা কর্মচারীর মূলবেতন ২৫,০০০ টাকার কম তাঁরা এখনই বেতন থেকে উৎসে আয়কর কর্তন বন্ধ করুন।
এমন হতভাগা অনেকেই আছেন যারা ২০১৯-২০ অর্থবছরে উৎসে আয়কর কর্তন করেছেন কিন্তু আয়করের সীমা পুরুষদের আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ এবং মহিলাদের তিন লক্ষ থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা হওয়ায় টাকাটা জলে গেছে। তবে সে সকল হতভাগা যদি ২০২০-২১ অর্থবছরে আয়করের আওতায় চলে আসেন তাহলে গতবছর প্রদানকৃত আয়কর সমন্বয় করতে পারবেন অর্থাৎ এ বছর কর প্রদান করেও আগামিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। এই সমন্বয়ের বিষয়টি এ বছর রিটার্ন দাখিলের সময় উল্লেখ করে দিতে হবে। তাই এই শ্রেণির ব্যাক্তিগণও আয়কর কর্তন বন্ধ করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন