পৃষ্ঠাসমূহ

*এখন ঢাকায় তারিখ ও সময়*

বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

চাকরিজীবিদের জন্য আয়কর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

আয়কর রিটার্ন পূরণ ও কর পরিপালন নির্দেশিকা
আয়কর  রিটার্ণ দাখিলের জন্য চাকরিজীবিদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিপত্র থেকে সংকলন করার চেষ্টা করেছি। এগুলো একটি পিডিএফ ফাইল হিসেবে (৩৩ পাতা) ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।
৫ সেকেন্ড অপেক্ষ করে Skip ad বাটনে ক্লিক করলে ডাউনলোড হবে।
সাইজ ১৩ মেগাবাইট

এক নজরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১। TIN/E-TIN  নম্বর থাকলেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে এমন কোনো শর্ত সর্বশেষ পরিপত্রে উল্লেখ নেই।
২। সরকারি চাকরিজীবি যাদের মূল বেতন ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের যেকোনো মাসে ১৬০০০ টাকা বা তার বেশি উত্তোলন করে থাকলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
৩। সরকারি চাকরিজীবিদের মূল বেতন, উৎসব ভাতা এবং বোনাসের যোগফল পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫০০০০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩০০০০০ টাকার বেশি হলে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।  নববর্ষ ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতাসহ অন্যান্য ভাতাদি করযোগ্য নয়।

৪। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ লেভেলের সকলেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে।

৫। বিশেষ কিছু পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি তাদের আয়ের পরিমাণ যাই হোক না কেন রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
৬। যেই কর অঞ্চলে ট্যাক্স সার্টিফিকেট খুলেছেন সেখানেই রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
৭। তবে বর্তমান (যেখানে খুলেছেন) জোনে আবেদন করে রিসিভ কপি নিয়ে নতুন যেকোন জোনে স্থানান্তর পূর্বক রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
৮। অনলাইনে দাখিল করলে জোনের কোনো বালাই থাকেনা।
৯। অনলাইনে দাখিলের জন্য স্ব স্ব কর অঞ্চল থেকে আইডি এবং পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে হবে।  E-TIN  নম্বর খোলার সময় যেই পাসওয়ার্ড দিয়েছেন সেটা নয়।
১০। সময়মত রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
১১। তিন পৃষ্ঠার মূল রিটার্ন ফরম পূরণ করা সকল ব্যক্তি করদাতার জন্য বাধ্যতামূলক। চাকরিজীবিরা আইটি-১১ ঙ ফরমে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে সাথে প্রয়োজনীয় তফসিলসমূহ পূরণ করে জমা দিতে হবে।
১২।  আয়ের উৱস বেতন হলে ২৪এ, বাড়িভাড়া থেকে আয় হলে ২৪বি, ব্যবসায় বা পেশাগত (ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এডভোকেট ইত্যাদি) আয় থাকলে ২৪সি তফসিল সংযুক্ত করতে হবে।
১৩। পরিসম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিলের জন্য কিছু শর্ত আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো বছর শেষে মোট পরিসম্পদের পরিমাণ ২৫ লক্ষ টাকার অধিক হতে হবে। তবে কেউ ইচ্ছে করলে স্বপ্রনোদিত হয়ে দাখিল করতে পারবে।
১৪। আগের ফরম দিয়েও এ বছর রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
১৫। নতুন করদাতা হলে এককপি সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে  হবে এবং প্রতি পাঁচ বছর পর পর দিতে হবে ।
১৬। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে ছবি, স্বাক্ষর এগুলো লাগবে না।   তবে সপোর্টিং পেপারস স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
১৭। করযোগ্য আয় থাকলে সবোর্চ্চ পরিমাণ রেয়াত নেয়ার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ন্যূনতম করের কম, শূন্য কিংবা  ঋণাত্মক হলেও ন্যূনতম আয়কর প্রদান করতে হবে। (উদাহরণ দেখুন)
১৮। পুরুষের ক্ষেত্রে ২৫০০০০ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৩০০০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য আয়কর শূন্য। পরবর্তী টাকার ক্ষেত্রে বিভিন্ন হার রয়েছে। 
১৯। ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকার ন্যূনতম আয়কর ৫০০০ টাকা, অন্যান্য সিটি
কর্পোরেশন এলাকার ন্যূনতম আয়কর ৪০০০ টাকা  এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ন্যূনতম আয়কর ৩০০০ টাকা।
২০। কর রেয়াত পাওয়ার জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। এই তিনটি শর্তের মধ্যে যেটির পরিমাণ কম সেটির উপরে নির্দিষ্ট হারে কর রেয়াত পাওয়া যাবে। 
২১। বেশ কিছু খাত রয়েছে যেসব খাতে বিনিয়োগ/দান করলে কর রেয়াত পাওয়া যায়।
২২। প্রফিডেন্ট ফান্ডের চাঁদা, জিপিএফ, কল্যান তহবিল এবং যৌথ বীমার চাঁদা কর রেয়াতযোগ্য বিনিয়োগ।

উৎস কর:
২২। আয় যখন হাতে আসবে তখনই কর দিয়ে দেয়াকে বলে উৎসে আয়কর কর্তন। যেমন: আমরা যখন প্রশিক্ষক/রিসোর্স পার্সন কোনো প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সম্মানী গ্রহণ করি তখনই ১০% হারে উৎসে কর কর্তন করে রেখে দেওয়া হয়। বছর শেষে কর গণণা করার পর মোট কর হতে কর্তনকৃত কর বাদ দিয়ে যা থাকে তা চালানের মাধ্যমে জমা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে হয়।
২৩। সরকারি চাকরিজীবিদের বেতন হতে উৎসে কর কর্তন করার জন্য নির্দেশনা রয়েছে। কেউ না কর্তন করলে তাঁর বেতন বন্ধ করারও এখতিয়ার রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
২৪। উৎস কর কর্তণের জন্য জুলাই হতে পরবর্তী জুন মাস পর্যন্ত সম্ভাব্য মূল বেতন, উৎসব ভাতা এবং বোনাসের যোগফল বের করে তার উপর আয়কর হিসেব করতে হবে। ন্যূনতম আয়করের আওতায় হলে কিংবা তার বেশিও যদি হয় সেই টাকাকে ১২ দিয়ে ভাগ করে প্রতি মাসের বেতন হতে কর্তন করতে হবে। (এ সংক্রান্ত পরিপত্র সংযুক্ত করা আছে)

২৫। বিজ্ঞজনদের পরামর্শ হলো প্রথমবার রিটার্ন দাখিলের সময় পরিসম্পদ একটু বেশি দেখালেও ক্ষতি নেই। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা হবে না। কিন্তু এরপরে কোনো বছরে হঠাৎ করে আপনার বৈধ পরিসম্পদও যদি দেখােতে চান তখন প্রশ্ন আসবে প্রথমবার ছিলনা এবার এত সম্পত্তি আপনি পেলেন কোথায়? আপনার বাৎসরিক আয় কত? ইত্যাদি ইত্যাদি
২৬। ই-টিন নম্বর খোলা, বিভিন্ন ফরম ডাউনলোড, পরিপত্র ডাউনলোড করারা জন্য ভিজিট করুন: http://nbr.gov.bd
publications এ পাবেন বিভিন্ন পরিপত্রসমূহ, Form এ পাবেন সকল ধরণের নতুন এবং পুরাতন ফরমসমূহ, E-services এ ক্লিক করলে পাবেন টিন নম্বর খোলা, অনলাইলে রিটার্ন দাখিলের অপশনসমূহ


আপাতত এ পর্যন্তই ....


যদি কিছু বাদ পড়ে তাহলে পরবর্তীতে সংযোজন করা হবে।

কোন মন্তব্য নেই: